প্রকাশিত: Sat, Apr 8, 2023 2:21 PM আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 4:56 AM
ট্রেন না বৃদ্ধি না করলে টিকেট পাবেন কোথায়!
সাদিকুর রহমান খান : ৮ এপ্রিল সকালে ট্রেনের টিকেট কাটার ট্রাই করেছেন ১১ লাখ মানুষ। টিকেট আছে সব মিলায়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার। কাজেই, ৯০ শতাংশ মানুষ টিকেট পাবেন না, এটাই বাস্তবতা। এখানে কোনো অনলাইন বা অফলাইন নেই, কাউন্টারে টিকেট থাকলেও ওই ২৫০০০ টিকেটই থাকতো। কেউ পাইতেন, কেউ পাইতেন না। কাজেই, এতো টিকেট গেলো কই বলে চিল্লাপাল্লা করার কোনো কারণ নেই। বরং টিকেট কখনোই এতো ছিলো না। টিকেট যার ভ্রমণ তার সিস্টেম করার পর ট্রেনে চেকিং হোক বা না হোক, অনলাইনে টিকেট পাওয়ার পসিবিলিটি বাড়ছে অনেকখানি। এই জায়গাতে অবশ্যই অ্যাপ্রিশিয়েশন করতেই হবে। আমরা যারা প্রতিবার ঈদের আগে ঝামেলায় পড়ি, এবার একটু কম ঝামেলাতেই টিকেট কাটা গেছে যেইটা সত্য কথা।
সমস্যা হইলো, দেশের বড় বড় মিডিয়াগুলো শুরু থেকেই এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে। প্রথম আলো ঘটা করে কলাম লিখে যাইতেসে, এতোদিন জানতাম টিকেটের কালোবাজারির টাকা শুধু রেলের লোকজনদের মধ্যে ভাগ হয়, বাট এখন মনে হইতেসে সাংবাদিকদের একটা ভাগ ওতে থাকলেও থাকতে পারে। প্রতি বছরের মতো কমলাপুরে ঠেলাঠেলি নেই, মারামারি নেই, সারারাত জাইগা জায়গা ধরে রাখার ক্লান্তি নেই। জাস্ট সকালে উঠে ফোনটা নিয়ে আপনার ভাগ্য পরীক্ষা করবেন। হলে হলো। না হলে অন্য রাস্তা দেখতে হবে। এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে একটাই অভিযোগ, টিকেট পাওয়া যায় না। তো কাউন্টারে দাঁড়াইলে টিকেট পাওয়া যাইতো? টিকেট অল্প, মানুষ অনেক। ট্রেন না বাড়াইলে টিকেট পাবেন না। এইখানে অনলাইনের দোষ দিয়ে লাভ কী?
এখানে আরেকটা অভিযোগ আসতেসে, ট্রেনগুলোর স্নিগ্ধার টিকেট ভিআইপিদের জন্য ব্লক করে রাখা হইতেসে। এই অভিযোগটা গুরুতর। রেল সাধারণ জনগণের জন্য, এখানেও যদি ভিআইপিরা এসে ভিড় করেন, তাহলে তো সমস্যাই। এখন সমস্ত রুটে বিমান অ্যাভেইলেবল, ভিআইপিদের ট্রেনে যেতে হবে কেন? আমি যেদিন টিকেট করেছি সেদিন স্নিগ্ধাতে মোটামুটি ৫৮ থেকে ৬০টা টিকেট শো করতেছিলো। আমি খুব সহজেই পাইসি। এখন শুনলাম ওইটা ২২ এ নাইমা আসছে। তাহলে বাকিগুলো কই গেলো? যদি এতো এতো সিস্টেম করেও ভিআইপিদের জন্য টিকেট ব্লক করে রাখা লাগে, সাধারণ মানুষ টিকেট না পায়, তাহলে পুরো সিস্টেমটাই কিন্তু ফেইল হয়ে যাবে। আশা করি, শ্রদ্ধেয় মাহবুব কবির মিলন সাহেবসহ রেলের দায়িত্বশীলরা একটু খোঁজখবর নেবেন এই বিষয়ে।
সবকিছু মিলাইয়া, এ বছরে কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য কম। গ্রুপগুলোতে ব্ল্যাক টিকেট বিক্রির পোস্ট নেই। আগের টিকেট পাইতো ব্ল্যাকাররা, এখন পাইতেসে সাধারণ মানুষ। কাজেই, আমি আপনি না পাইলেও মন খারাপ করার কিছু নেই, আরেকজন তো যাইতে পারতেসে, তাই না? টিকেট যার ভ্রমণ তার এবং অনলাইন টিকেটিং সিস্টেম অলরেডি সফল। এর বিরুদ্ধে নেগেটিভিটি ছড়ানোর চেষ্টাও তাই বেশি থাকবে, কারণ ব্ল্যাকাররা চাইবেই এই সিস্টেম বাতিল হয়ে আগের সিস্টেমে ফিরুক। আমাদের কাজ হবে এই সিস্টেমের গঠনমূলক সমালোচনা করা, যাতে সিস্টেমটা আরও ভালো হয়ে উঠে, আরও ট্রান্সপারেন্ট হয়ে উঠে। ওদের কথায় কান দিয়ে হাউকাউ কইরেন না। নিজে একটু চিন্তা করে দেখেন। এতো এতো মানুষের সবাইকে টিকেট দেওয়া সম্ভব না, জাস্ট টিকেটগুলো ব্ল্যাকারের হাতে না গিয়ে মানুষের হাতে যাচ্ছে, এরচে বড় সুসংবাদ তো আর নেই। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
